লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর এবং হাতিবান্ধা উপজেলার বনচৌকি সীমান্ত দিয়ে প্রায় ৪০ জন মানুষকে বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। মঙ্গলবার (২৭ মে) দিবাগত রাত ২টা থেকে শুরু হওয়া এই চেষ্টাটি বুধবার (২৮ মে) সকাল ১১টা পর্যন্ত চললেও, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও স্থানীয়দের বাধায় তা ব্যর্থ হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, জেলার দুর্গাপুর সীমান্তের ৯২৪ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব-পিলার এবং বনচৌকি সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় ৭৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা করে। তবে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবি ও স্থানীয়রা উপস্থিত হয়ে বাধা দিলে পুশইনের অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিরা দুই দেশের সীমান্তের মাঝখানে আটকে পড়ে।
দুর্গাপুর সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করা ব্যক্তিরা প্রথমে বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে পড়লেও বিজিবির কড়া অবস্থানের কারণে পুনরায় ভারতের দিকে ফিরে যায়। বর্তমানে তারা মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান করছে। বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই ব্যক্তিরা ভারতের আসাম রাজ্য থেকে এসেছে এবং বিএসএফ তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও আধার কার্ড জব্দ করেছে।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, বিএসএফ বনচৌকি ও দুর্গাপুর সীমান্ত দিয়ে কিছু লোককে বাংলাদেশে ঢোকানোর চেষ্টা করেছিল। বিজিবির তৎপরতায় তারা এখনো সফল হয়নি।
তিনি আরও জানান, পুশইনের অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিরা যদি প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশি নাগরিক হন, তবে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে সেক্টর পর্যায়ে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে। বর্তমানে ওই সীমান্ত এলাকাগুলোতে বিজিবির পাশাপাশি স্থানীয়রাও অবস্থান করছে।
মন্তব্য করুন