নীলফামারীতে বাংলাদেশ প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প (২য় ফেইজ) এর অবহিতকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার(২৪ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
নীলফামারী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন ঠাকুরগাঁও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব।
এতে মুখ্য আলোচক হিসেবে বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয় রংপুরের পরিচালক জিলুফা সুলতানা ও আলোচক হিসেবে নীলফামারী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোহসিন বক্তব্য দেন। এ-সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নুসরাত ফাতেমা, প্রবেশন অফিসার মো: ফরহাদ হোসেন, শহর সমাজসেবা অফিসার হৃদয় হোসেন প্রমুখ।
সেমিনারে জানানো হয় নীলফামারী জেলায় ৪হাজার ২০২জন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ রয়েছেন।
এই জনগোষ্ঠীর কামার, শতরঞ্জি, লোকজ শিল্পী, কুমার, নাপিত, বাঁশ ও বেত পণ্য প্রস্তুতকারী, কাঁসা পিতল পণ্য প্রস্তুতকারী, জুতা মেরামতকারী, লোকজ যন্ত্র, নকশী কাঁথা শিল্পী ও শীতল পাটি প্রস্তুত করে জীবন যাপন করে থাকেন। বলা হয়, প্রান্তিক এসব মানুষরা অবহেলিত অবস্থায় রয়েছেন। উৎপাদিত পণ্য সঠিকভাবে বাজারজাত করতে না পারায় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। অনেকে আবার পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় নিয়োজিত হচ্ছে। তাদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার কর্মসুচি নিয়েছে যাতে তাদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটে।
বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয় রংপুরের পরিচালক জিলুফা সুলতানা জানান, প্রকল্পের দ্বিতীয় ফেইজে নীলফামারীর সৈয়দপুর ও জলঢাকা উপজেলায় কর্মসুচি বাস্তবায়ন করা হবে। এই দুই উপজেলার ১হাজার ৩০৩জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আর্থিক ভাবে সহায়তা করা হবে। যাতে তারা উদ্যোক্তা হতে পারেন এবং মার্কেটিংয়ে ভুমিকা রাখতে পারেন।
মন্তব্য করুন