আয়কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় নীলফামারী-১(ডোমার-ডিমলা)আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, নীলফামারী জেলা শাখার সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে আয়কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের পৃথক দুইটি মামলায় জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ২৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে দুই মামলায় স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে পৃথক পৃথক জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত ২০০৭-২০০৮ ইং সালে কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের পৃথক পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি দীর্ঘ আঠারো বছর পর বিদেশ থেকে দেশে ফিরেন গত ২২ এপ্রিল। দেশে ফিরে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২৯ এপ্রিল আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে স্ব-শরীরে হাজিরা দিয়ে জামিন আবেদন করেন কিন্তু আদালত তা নামঞ্জুর করেন। আদালত তুহিনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার সাথে সাথেই নীলফামারী জেলা বিএনপি সহ ৬ উপজেলার বিএনপি ও সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথে নেমে আসে। উত্তপ্ত করে দেয় গোটা নীলফামারী জেলা। ডিমলা উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানী প্রধান বলেন, অনতিবিলম্বে যদি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে নীলফামারী -১ আসনের সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন ভাইকে নিঃশর্ত মুক্তি ও তার বিরুদ্ধে করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে ডিমলা উপজেলা বিএনপি’র ডাকে কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আমি তুহিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন