নীলফামারীর জলঢাকায় বৈশাখী হাওয়ায় দুলছে ধানের শীষ। সেই দৃশ্য দেখে কৃষকের মুখে আনন্দের হাসির ঝিলিক লক্ষ্য করা গেছে। এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ইরি-বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আর এক সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ শুরু হবে তাই কৃষকেরা প্রস্তুতি নিচ্ছে কিভাবে ধান ঘরে তুলতে পারবে। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে এবার ১৪ হাজার ৬ শত ৯৫ হেক্টর জমিতে ইরি বোরোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অর্জিত হয়েছে ১৪ হাজার ৬ শতক ৯৭ হেক্টর। নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে কৃষকেরা ক্ষেতকে ধানে রুপান্তরিত করেছে। এক সপ্তাহ পরে শুরু হবে পুরোদমে কাটা মাড়াইয়ের কাজ। কেউ বাঁশের ডালি (টুকরি), কুলা, কেউ উঠান ঠিক করছে ধান শুকাবে বলে কৃষকেরা কোমড় বেধে নেমে পড়েছে। নতুন ধান ঘরে উঠতেই শুরু হবে আনন্দ ও উৎসবের জোয়ার। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে তা লক্ষ্য করা যাবে। উপজেলার বিভিন্ কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবার প্রচন্ড রোদ থাকায় পোকার আক্রমন কম হয়েছে তাই খরচ অনেক কম হবে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। পৌরসভার কৃষক কৃষ্ণ চন্দ্র জানান, ৩ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান লাগিয়েছিলাম আর ১০ দিন পরেই কাটতে পারবো। এবার পোকার আক্রমন কম হওয়ায় খরচের পরিমানটা কম হয়েছে। বালাগ্রামের কৃষক নাসিমুজ্জামান নাদির জানান, ১৫ বিঘা জমিতে ইরি-বোরো চাষ করেছি; কদিন পরেই ধান ঘরে তুলবো। এখন আবহাওয়াটা ভালো থাকলেই হলো। উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন আহমেদ জানিয়েছেন, এবারে ইরি-বোরোর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হেয়ছে ৬৬৫৭৭.৪১ মে.টন। ফলন গতবারের তুলনায় অনেকটা ভালো। প্রতিবিঘা জমিতে গড় ফলন ২২ থেকে ২৩ মন ধরা হয়েছে।দশদিন পরেই পুরো দমে ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ শুরু হবে। এ অঞ্চলে সাধারণত হাইব্রিড ও উপসি জাতের ধান চাষ হয়ে থাকে।
মন্তব্য করুন