দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ৪ নং পাল্টাপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড এর বাছার গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকার মৃত-বেলাল উদ্দিনের পুত্র যুবলীগ নেতা মোঃ হাবিবুর রহমান দুলালকে ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বীরগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় বীরগঞ্জ উপজেলার বেলতলী বাজার থেকে গ্রেফতার করে দিনাজপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ।
উক্ত মামলার বাদী হলেন, দিনাজপুর সদর উপজেলার দাড়াইল গ্রামের মনতাজুল রহমানের স্ত্রী মাহবুবা আক্তার। তার ছেলে মোবাশ্বের গুলিবিদ্ধ ও আহত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে ১২৬ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন। এর মধ্যে ৯৮ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামী হাবিবুর রহমান দুলাল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান দুলাল তিনি পেশায় ছিলেন একজন নামের ব্যবসায়ী কিন্তু তার মূল পেশা হলো রাজনৈতিক পেশা। রাজনৈতিক পেশাকে পুঁজি করে মানুষকে ধোকা দেওয়া ছিল তার মূল কর্মকাণ্ড। তিনি বীরগঞ্জ উপজেলার ৪ নং পাল্টাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের যুবলীগ সদস্য পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় উক্ত ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার অসহায় ও নিরীহ মানুষের উপরে দীর্ঘদিন যাবত জুলুম ও অত্যাচার চালিয়ে গেছেন এই যুবলীগ নেতা দুলাল। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়। মনোরঞ্জন শীল গোপাল (সাবেক এমপি দিনাজপুর-১) এবং জেলা, উপজেলা ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের পরিচয় দিয়ে অসহায় নিরীহ মানুষকে বিভিন্ন রকম ভয়-ভীতি দেখিয়ে জায়গা দখল, চাঁদাবাজি, চাকরি দেওয়ার নামকরণ সহ মানুষকে জিম্মি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিতেন আওয়ামী যুবলীগ নেতা।
সরে জমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাবিবুর রহমান দুলাল বীরগঞ্জ উপজেলার ৪ নং পাল্টাপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সদস্য থাকাকালীন অবস্থায় স্থানীয় সাবেক মনোরঞ্জন শীল গোপাল এর সাথে হাত মিলিয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসা ও জমি দখলসহ নানা প্রকার অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার বিদায় নেয়ার পর থেকে এই আওয়ামী যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান দুলাল এলাকায় টিকে থাকার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন। পরবর্তীতে আরো একটি নতুন কৌশল অবলম্বন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ৪নং পালটাপুর ইউনিয়ন শাখা ওয়ার্ড কমিটির বীরগঞ্জের প্যাডের পাতার মধ্যে ভুয়া প্রত্যায়ন পত্র তৈরি করে উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এদের সিল তৈরি করে স্বাক্ষর জাল করেন। এবং সেই সাথে নিজের নাম পদবী দিয়ে এই প্রত্যয়ন পত্রটি বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করেন । এই ঘটনার বিষয়টি এলাকায় জানা জানি হলে বীরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ মনজুরুল ইসলাম মন্জু।
এলাকাবাসী জানান, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে হাবিবুর রহমান দুলাল ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইতিপূর্বে চাঁদাবাজি জমি দখল এর মাধ্যমে দুর্নীতি ও অনিয়ম করে লক্ষ লক্ষ টাকা কামিয়ে এখন তিনি অন্যদলের পোষাক পরিধান করার চেষ্টা করছেন। এই আওয়ামী সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।
মন্তব্য করুন