বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং পরিকল্পিতভাবে আওয়ামীলীগের পূর্ণবাসনের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে নীলফামারী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ আবু-আল-হাজ্জাজকে অপসারণে ৭২ঘন্টা সময় দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দুর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তাকে অপসারণ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তারা। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মী ও বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।১০ই এপ্রিল ২০২৫ দুপুরে নীলফামারী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসুচিতে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নীলফামারী জেলা শাখার আহবায়ক সৈয়দ মেহেদী হাসান আশিকের সভাপতিত্বে মানববন্ধন সমাবেশ পরিচালনা করেন সদস্য সচিব আলিফ সিদ্দিকী প্রান্তর। এসময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ন আহবায়ক সাইদুজ্জামান বাবু, রতন সরকার, বোরহান আহমেদ, সৈয়দ গোলাম আযম, রইছুল ইসলাম অম্লান, যুগ্ম সদস্য সচিব মো: রেজাউল ইসলাম সহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইনসাফ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি আখতারুজ্জামান খান সহ বিভিন্ন পেশার লোকজন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান অত্যন্ত খারাপ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, পর্যাপ্ত ঔষুধ পাচ্ছেন না রোগীরা। যারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হয়েছিলেন তারাও সঠিকভাবে এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা পায়নি। এছাড়া নীলফামারী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ আবু-আল-হাজ্জাজ পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের পূর্ণবাসনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিশেষ করে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগকে পুর্নবাসন করা হচ্ছে। আউটসোর্সিংয়ের কাজে পূর্বে সেখানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান কর্তৃক জনবল নিয়োগ দেওয়া হয় যারা শতকরা ৯০% হলো আওয়ামীলীগ কিংবা আওয়ামী পরিবারের। আওয়ামী লীগের দোসরদের সাথে হাত মিলিয়ে নানারকম টেন্ডার বাজি করিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেছেন। এছাড়া সাধারণ জনগণ সঠিকভাবে চিকিৎসা সেবা সহ ওষুধ পাতি ঠিকমতো পাইতেছে না। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই তত্ত্বাবধায়ক কে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নেওয়ার নেয়া না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি করতে বাধ্য হব।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নীলফামারী জেলা শাখার সদস্য সচিব আলিফ সিদ্দিকী প্রান্তর বলেন, হাসপাতালের এই তত্বাবধায়কের কারণে সেবার মান বাড়ছে না। রংপুরে থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা হয়েছে এরকম একজন কর্মকর্তা কিভাবে এই হাসপাতালে এখোনো বহাল থাকে?
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নীলফামারী জেলা শাখার আহবায়ক সৈয়দ মেহেদী হাসান আশিক বলেন, আমরা ৭২ ঘন্টার সময় দিচ্ছি। তাকে এখান থেকে সরে যেতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসুচি ঘোষণা করা হবে।
জানতে চাইলে নীলফামারী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ আবু-আল-হাজ্জাজ বলেন, অভিযোগ থাকতে পারে। সেগুলো অনুসন্ধান হোক তাহলে প্রকৃত বিষয়টি জানা যাবে। আমিও চাই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ অভিযোগের সত্যতা যাচাই করুক। কর্তৃপক্ষ যা ব্যবস্থা নিবে তাই করিবো।
মন্তব্য করুন