রংপুর জেলার সদর ও মিঠাপুকুর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে ছয়টি ইটভাটার মালিককে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) লঙ্ঘনের দায়ে একজনকে ০১ (এক) মাসের কারাদণ্ডসহ মোট ২০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড এবং ইটভাটার চুল্লীর আগুন পানি দিয়ে নিভিয়ে স্কেভেটর দিয়ে ইটভাটাগুলোর কিলন আংশিক গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (০৮ এপ্রিল, ২০২৫) পরিবেশ অধিদপ্তর, রংপুর জেলা কার্যালয় এবং মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট উইং, পরিবেশ অধিদপ্তর, সদর দপ্তর, ঢাকার যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে বিচারিক দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ-আল-মামুন। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রংপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ মাসউদুর রহমান।
উক্ত অভিযানে সদর উপজেলার লাহিড়ীর হাট ও ঈশ্বরপুর লাহিড়ী হাট এবং মিঠাপুকুর উপজেলার ঘেচুলিয়া ও কুটিবাড়ী ছড়ান এলাকায় মোট ছয়টি ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এগুলো হলো—
০১. মেসার্স সোহান ব্রিকস
লাহিড়ীর হাট, সদর, রংপুর
০২. মেসার্স রংপুর ব্রিকস
ঈশ্বরপুর লাহিড়ী হাট, সদর, রংপুর
০৩. মেসার্স ঢাকা ব্রিকস
ঈশ্বরপুর লাহিড়ী হাট, সদর, রংপুর
০৪. মেসার্স সম্রাট ব্রিকস
ঘেচুলিয়া, জায়গীরহাট, মিঠাপুকুর, রংপুর
০৫. মেসার্স ফারিয়া ব্রিকস
কুটিবাড়ী ছড়ান, মিঠাপুকুর, রংপুর
০৬. মেসার্স এম আর বি ব্রিকস
কুটিবাড়ী ছড়ান, মিঠাপুকুর, রংপুর
অভিযানে আইন লঙ্ঘনের দায়ে একজনকে ০১ (এক) মাসের কারাদণ্ডসহ মোট ২০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড এবং ইটভাটার চুল্লীর আগুন পানি দিয়ে নিভিয়ে স্কেভেটর দিয়ে ইটভাটাগুলোর কিলন আংশিক গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
রংপুর জেলা পুলিশ বিভাগের সদস্যবৃন্দ, সেনাবাহিনীর সদস্যবৃন্দ এবং রংপুর সদর ও মিঠাপুকুর সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইটভাটায় কৃষি জমির উর্বর মাটির ব্যবহার কমানোসহ পরিবেশের ক্ষতিসাধণ রোধে এবং বায়ুদূষণ কমাতে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন