রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে ছয়টি ইটভাটার মালিককে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) লঙ্ঘনের দায়ে মোট ২৪ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে এবং স্কেভেটর দিয়ে কিলনসহ ইটভাটাগুলো আংশিক গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (২৪ মার্চ) পরিবেশ অধিদপ্তর, রংপুর জেলা কার্যালয় এবং মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট উইং, পরিবেশ অধিদপ্তর, সদর দপ্তর, ঢাকার যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে বিচারিক দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ-আল-মামুন। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রংপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ মাসউদুর রহমান।
উক্ত অভিযানে তারাগঞ্জ উপজেলার শেরমস্ত ও দোয়ালীপাড়া এলাকায় ছয়টি ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এগুলো হলো—
০১. মেসার্স বি এস বি ব্রিকস
শেরমস্ত, খিয়ারজুম্মা, তারাগঞ্জ, রংপুর
০২. থ্রি স্টার ব্রিকস
শেরমস্ত, খিয়ারজুম্মা, তারাগঞ্জ, রংপুর
০৩. মেসার্স এ এস বি ব্রিকস
শেরমস্ত, খিয়ারজুম্মা, তারাগঞ্জ, রংপুর
০৪. মেসার্স টি বি এল ব্রিকস
শেরমস্ত, তারাগঞ্জ, রংপুর
০৫. মেসার্স লুনা ব্রিকস
শেরমস্ত, তারাগঞ্জ, রংপুর
০৬. মেসার্স এস বি সি ব্রিকস
দোয়ালীপাড়া, তারাগঞ্জ, রংপুর
অভিযানে আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ধার্যপূর্বক আদায় করা হয় এবং অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটাগুলো কিলনসহ আংশিক গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
রংপুর জেলা পুলিশ বিভাগের সদস্যবৃন্দ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৩) এর সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডারসহ র্যাব সদস্যবৃন্দ এবং তারাগঞ্জ সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইটভাটায় কৃষি জমির উর্বর মাটির ব্যবহার কমানোসহ পরিবেশের ক্ষতিসাধণ রোধে এবং বায়ুদূষণ কমাতে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন