সমাজিক সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান আর্ন এন্ড লিভের আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘর পেল হেলাল মিয়া।
আর্ন এন্ড লিভের চেয়ারপার্সন ফরিদা ইয়াসমিন জেসি জানায়, হঠাৎ ফোন পেলাম জাহাঙ্গীর নামে একজন মজুর ছেলের ঘর পুড়ে গিয়েছে। আমি পথেই ছিলাম ফুড প্যাক বিতরণে, ফোন পেয়ে গেলাম, রাতে ঘর পুড়ে গিয়েছে, দেখলাম রাস্তায় বসে আছে সারা পরিবার, কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো আমাকে পেয়ে। আমি পোড়া বাড়িতে পা রাখলাম, কিছুই অবশিষ্ট নেই। এক টি মেয়ের বিয়ে দিবে বলে এক ভরি গয়না ছিলো পুড়ে গিয়েছে,জমানো টাকা পোড়ে গিয়েছে, ছাগল, মুরগী ছিলো একি ঘড়ে পোড়ে গিয়েছে। হেলাল মিয়ার এক সপ্তাহের মজুরি ছিলো ৪ হাজার পোড়ে গিয়েছে।
কিছুই অবশিষ্ট নেই। কান্না শোনে বলে ফেলেছিলাম ঘরটি আমি করে দিবো আল্লাহর ইচ্ছেতে। হেলাল ও তার স্ত্রী বলে উঠলো আলহামদুলিল্লাহ। সাথে বসা সবাই বললো আলহামদুলিল্লাহ। তাদেরকে শান্তনা দিলাম একটি নতুন ঘর আসবে এই ভিটাতে সে ইচ্ছে আল্লাহর ছিলো বলেই ঘরটা পুড়েছে হয়তো। মেয়ের বিয়েতে হয়তো অনেক সহায়তা পাবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের টিম আগামী কাল পৌঁছে যাবে ঘর তৈরির কাজ শুরু করার জন্য। আমাদের জন্য দোয়া চাই। আপনাদের সহায়তা চাই।
কথা অনুযায়ী শুরু হয় ঘরের কাজ রঙ্গিন টিন দিয়ে ঘরটি তৈরী হয়।
২৩ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সকাল ১০.৩০ মিনিট টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার বাওয়র কুমারজানিতে ঘরটি হেলাল মিয়া কে হস্তান্তর করেন আর্ন এন্ড লিভ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন জেসি। অত্র এলাকার মুরবিরা বলেন ঘরটি অনেক সুন্দর হয়েছে হেলাল কে ঘর দিয়েছেন আমরা এলাকা বাসি সবাই খুশি হয়েছি আপনার মানিবক কাজ গুলো কে আমরা সাধু বাদ জানাই
আছমা বেগম হেলালের স্ত্রী তিনি ঘর পেয়ে আবেগ প্লাবুত হয়ে বলেন আর্ন এন্ড লিভ থেকে আমাকে ফরিদা ইয়াসমিন জেসি একটা আমাকে সুন্দর ঘর করে দিয়েছেন এই ঘরে স্বামী সন্তান নিয়ে আমি এখন ঘরে থাকতে পারবো মন খুলে আপা কে দোয় করি আল্লাহ তার পরিবার কে ভাল রাখুক।
ভুক্তভোগি হেলাল মিয়া বলেন আমার মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে এদিকে আবার আগুনে আমার ঘর পোড়ায় সর্বহারা পথ হারা হয়েছি। আর্ন এন্ড লিভ দ্রুত আমাকে একটি ঘর করে দেওয়ায় ফরিদা ইয়াসমিন জেসি কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই পাশা পাশি আপুর জন্য দোয়া করি আল্লাহ আপু কে যেন এভাবে মানবসেবা করার তৌফিক দান করেন।
আর্ন এন্ড লিভ এর চেয়ারপার্সন ফরিদা ইয়াসমিন জেসি বলেন আগুনে পুড়ে যাওয়া হেলালের ঘর ঈদের পড় করে দিবো এরকম কথা থাকলে পরেক্ষনে তিনি ভাবলেন না সামনে তো ঈদ তাই কাজ টি দ্রুত করাই ভাল হবে। সকল কাজের অবসান ঘটিয়ে বৃহওর দিনাজপুর থেকে মিস্ত্রি নিয়ে আসি কাজটি দ্রুত শেষ করি আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় ঘরটি উদ্বোধন করা হলো।
মন্তব্য করুন