নীলফামারীর জলঢাকায় সংবাদকর্মী কে বেকায়দায় ফেলে চেকে স্বাক্ষর করে নিলেন দূর্বৃত্তরা। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ১৪ মার্চ শুক্রবার জলঢাকা উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি মো, বাদশা শাজাহান কে থানায় নিয়ে গিয়ে বেকায়দায় ফেলে চেক সই করে নেন সুপারি ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলাম মাস্টার। এই চেক স্বাক্ষরের পর ভারাটে লোকজন দিয়ে জলঢাকা উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি বাদশা শাজাহান এর বাড়ির সামনে তান্ডব শুরু করে হ্যান্ডমাইক দিয়ে হুমকি ধামকি দেন আসাদুল মাস্টারের বাহিনী, পুলিশ এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, গত ২০২৩ সালে নীলফামারীর প্রথম শ্রেণির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কেয়া কনস্ট্রাকশনে ইট সরবরাহের জন্য জলঢাকা উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি বাদশা শাজাহানের হাত ধরে চুক্তিবদ্ধ হয়। জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও ডোমার উপজেলার কনস্ট্রাকশন কাজের কোটি টাকার অধিক পরিমাণে ইট সরবরাহ করেন আসাদুল মাস্টার। কোটি টাকা লেনদেন হয় আসাদুল মাস্টার ও ঠিকাদার আলহাজ্ব মিজানুর রহমানের সাথে। এরমধ্যে সরকার পরিবর্তন হলে সম্পর্কের মাঝে তিক্ততার সৃষ্টি হয় এবং কেয়া কনস্ট্রাকশনের কাজে বাধাগ্রস্ত করে কাজ বন্ধ করে দেন আসাদুল মাস্টার, ব্লাক মেইল করে ঠিকাদারের ভায়রাভাই বাদশা শাজাহান কে বাধ্য করে এই চেক এ স্বাক্ষর করে নেয় আসাদুল মাস্টারের লোকজন। এবিষয়ে কেয়া কনস্ট্রাকশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি বলেন, আসাদুল মাস্টার লোক হিসেবে ভালো কিন্তু মাসুম ফকিরের সম্পৃক্ততায় এই ঘটনার সৃষ্টি হয়, বাদশাহ শাজাহান ও আসাদুল মাস্টারের খুবই অন্তরঙ্গ সম্পর্ক এবং সম্পর্কে তারা বেয়াই হয়।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও আনন্দ টিভির প্রতিনিধি স্বপ্না আক্তার স্বর্ণালি শাহ্ এবং সাধারণ সম্পাদক ও আমার সংবাদ এর প্রতিনিধি আল আমিন।
এ বিষয়ে স্বপ্না আক্তার স্বর্ণালি শাহ বলেন, কোনভাবেই একজন মানুষ কে জিম্মি করে চেক এ স্বাক্ষর নিতে পারেন না, তবুও আবার থানার ভেতরে। তাই মাননীয় জেলা পুলিশ সুপার এর কাছে এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি গঠনের আহবান জানান।
ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন, দৈনিক মানবজমিন প্রতিনিধি দীপক আহমেদ, দৈনিক দেশ বর্তমান প্রতিনিধি আল ফারুক পারভেজ উজ্জ্বল, দৈনিক আমাদের সময় প্রতিনিধি রেজাউল করিম রঞ্জু, নীল সিমান্তের নির্বাহী সম্পাদক আব্দুর রশিদ, মর্ণিং গ্লোরীর প্রতিনিধি আবু হাসান, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রতিনিধি সোহেল রানা, উত্তরবঙ্গের সংবাদের প্রতিনিধি আব্দুল মালেক, এশিয়ান টিভি ও সাপ্তাহিক নীল চোখের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম। তারা ঘটনার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক বিচারের দাবি জানান।
মন্তব্য করুন