ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে ঘুষের টাকাসহ উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও অফিস অডিটরকে আটক করেছে দুদক। সোমবার (১৭ মার্চ) ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে ঘটনাটি ঘটেছে।দুদকের ঠাকুরগাঁও শাখার সহকারী পরিচালক ও উপ পরিচালক (অ:দা) আজমীর শরীফ মারজী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আমার তত্ত্বাবধানে ঠাকুরগাঁও জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি চৌকস ও বিশেষ টিম এ অভিযানে অংশ
এ সময় হরিপুর উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শরিফুজ্জামান ও অফিস অডিটর আব্দুল হান্নানকে ঘুষের টাকাসহ তাদের নিজ দফতর থেকে আটক করা হয়।
অভিযোগকারী ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের নিরাপত্তা প্রহরী আব্দুল হামিদ বলেন গত ৫ ফেব্রুয়ারি আমি অবসরে যায়। এরপর এলপিসি বিলের জন্য চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করি। পরে বিলটি যাচাই বাছাই করে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে পাঠিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে আমি বিল পেতে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে যোগাযোগ করি। তখন ওই অফিসের অডিটর হান্নান আমাকে বলেন, এভাবে খালি হাতে কি বিলপাস করা যায়? বিল পাস করাতে হলে ৫০ হাজার টাকা সালামী দিতে হবে।
প্রথমে আমি সালামী বা ঘুষ দিতে অস্বীকার করি। পরে নিরুপায় হয়ে আলোচনার মাধ্যমে ২২ হাজার টাকা ঘুষ দিতে সম্মত হয় এবং নগদে ১৭ হাজার টাকা তাদের দিই। বাকি আরো ৫ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হবে, না হলে আমার বিলটি পাস করবে না বলে আমাকে সাফ জানিয়ে দেয়। বিষয়টি আমার কাছে কষ্টদায়ক হলে পরবর্তীতে আমি এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও দুদক বরাবর লিখিত অভিযো করি এবং আইনি প্রতিকার চাই।দুদকের ঠাকুরগাঁও শাখার সহকারী পরিচালক ও উপ পরিচালক (অ:দা) আজমীর শরীফ মারজী বলেন আব্দুল হামিদকের অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন ঠাকুরগাঁও শাখা সব আইনানুগ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ফাঁদ মামলা পরিচালনার জন্য একটি বিশেষ ও চৌকস টিম গঠন করে। সোমবার সকাল থেকে বিশেষ টিমের সদস্যরা হরিপুর উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের চারদিকে ওৎ পেতে থাকেন। নিজ দফতরে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার শরিফুজ্জামান ও অডিটর হান্নান যখন ঘুষের টাকা গ্রহণ করছিলেন। ঠিক তখনই কমিশনের বিশেষ টিমের সদস্যরা ঘুষের টাকাসহ শরিফুজ্জামান ও হান্নানকে হাতে-নাতে আটক করা হয়।
তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আদালতে সোপর্দ করা হবে। হরিপুর থানার এস আই শহিদুল্লাহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন