৭০ বছর বৃদ্ধা মহিলা ৩০ বছর যাবৎ ভিক্ষা করে জীবন সংগ্রামের সাথে যুদ্ধ করে জীবিকার টানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এলাকায় মানুষের দরজায় হাত পেতে দু”মুঠো চাল নিয়ে বাড়ি এসে ক্ষুধা নিভরনের তাগিদে আজ ও বেঁচে আছে ৭০ বছরের সেই ভিক্ষুক বৃদ্ধা মহিলা কাজীরহাট থানাধীন আন্ধারমানিক ইউনিয়নের উত্তর আজিমপুর গ্রামের পরান সিকদারের পরিবার নেহারু বেগম। অবশেষে সেই ভিক্ষুক মহিলা কে চোর সন্দেহ ভেবে হাত বেঁেধ হত্যার হুমকি,হাতের নখ উপড়ে ফেলা ও পুলিশ কে দিবে বলে ভয়বিতী দেখায়। মুলাদী উপজেলার ৫ নং ওয়ার্ডের কাজীরচর গ্রামের ডিলার (সার) ব্যবসায়ী মোঃ মাসুম সিকদার ও তার পরিবার কানিজ ফাতেমা বেগম। মাসুম সিকদার জানায়, মুলাদী থানা রোড সংলগ্ন বাসা ভাড়া থাকি। গত ৫ই মার্চ দুপুরে ভিক্ষুক মহিলা আমার বাসা থেকে স্বর্নের চেইন ও ১ জোড়া কানের জিনিস চুরি করে নিয়ে যায় আলমারী থেকে । গত ১০ মার্চ ঐ ভিক্ষুক মহিলা আমার বাসায় ফের ভিক্ষার জন্য দুপুরে আসলে মহিলা কে আটক করে রঁশি দিয়ে বেঁধে ফেলি। চুরি হওয়া মালামাল সর্ম্পকে জানতে চাইলে বলে আমার বাড়িতে মাটির নিচে পুঁতে রেখেছি। ভিক্ষুক মহিলার কথা মতো অটোযোগে কাজীরহাট থানার আন্ধারমানিক ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের উত্তর আজিমপুর গ্রামের ভিক্ষুক মহিলার বসত বাড়িতে আসা হয় দুপুর ৩ ঘটিকায় র্স্বন বের করে দিতে বললে হাউমাই করে কেঁদে বলে আমি চুরি করি নাই। এক পর্যায় মাসুম সিকদারের পরিবার কানিজ ফাতেমা বলে আমার বাসায় সিসি ফুটেজে প্রমান আছে এবং হুমকি দামকি দিলে ভিক্ষুক মহিলা বলে আমার বসত ঘরের মাটির নিচে পুতে রেখেছি। ঐ বাড়ির মহিলা পুরুষ মিলে মাটি খুড়লে র্স্বনের খোজঁ পাওয়া যায়নী। র্স্বন পাওয়া যায়নী বলে স্বামী স্ত্রী মিলে টানা হেঁচড়া করে উঠানে ভিক্ষুক মহিলা কে। এক পর্যায় ভিক্ষুক মহিলাকে মাসুম সিকদার কোলে তুলে নিয়ে যাবে মুলাদী তাদের বাসায়। ভিক্ষুক মহিলা চিৎকার করে কান্না কাটি করে আমি চুরি করি নাই। বাড়ির রাস্তা পযর্ন্ত ভিক্ষুক মহিলাকে নিয়ে আসা হলে বাড়ির মহিলারা বাধা দিলে তোপের মুখে পড়লে ছেড়ে দেয়। অতঃপর ঐ বাড়ির আলআমিন সিকদার বলেন ১ দিনের সময় আমাকে দিবেন বিষয়টি আমি জিঞ্জাসা করি চুরি সর্ম্পকে মহিলা কি জানায়। ভিক্ষুক মহিলার আতিœয় স্বজনেরা জানায়, সিসি ফুটেজে প্রমান পাওয়া গেলে জরিমানা দিতে বাধ্য থাকিব। বাড়ি সূএে জানাগেছে, ভিক্ষুক মহিলার স্বামী মোঃ পরান সিকদার বুদ্ধি প্রতিবন্ধি মহিলা নেহারু বেগম প্রায় ৩০ বছর যাবৎ ভিক্ষা করে জিবীকা নিবারন করে। এক ছেলে বিবাহ করে মুলাদী উপজেলায় পরিবার নিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকে। এক মেয়ে মরিচাষ প্রবাসে থাকে অপর মেয়ে ফরিদপুর থাকে। সিকাদার বাড়ির সকলের অভিযোগ রয়েছে ঘটনা ৬ দিন অতিবাহীত হওয়া সত্যেও আইনী ভাবে পদক্ষেপ না নিয়ে সন্দেহ ভাবে আইন নিজ হাতে তুলে নিয়ে এভাবে নির্যাতন ভয়ভিতী প্রর্দশন,টানা হেচঁড়া, জোর পূর্বক কোলে তুলে নিয়ে যাওয়া মানব অধিকার লঙ্গনে শামিল বলে মন্ত্যব করেন।
আন্ধারমানিক ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খোকনের মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানায়, এ বিষয় আমার জানানেই। কাজীরহাট থানা অফিসার্স ইনচার্জ ওসি মোঃ মিজানুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানায়, কেউ আমাকে বিষয়টি অবগত করেনী।
মন্তব্য করুন