নাটোরে নারী নির্যাতনের মামলায় বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম ফজলুল হককে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন।
আদালত থেকে কারাগারে নেয়ার সময় সাংবাদিকরা ভিডিও করতে গেলে আসামি এসএম ফজলুল হক সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেন। এ সময় আদালত চত্বর এলাকা উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আদালত সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এসপি ফজলুল হক মঙ্গলবার নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে হাজিরা দিতে এলে আদালতের বিচারক আব্দুর রহিম তাকে জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এর আগে তিনি উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দিতে এলে তাকে এ আদেশ দেয় আদালত। পরে তাকে গাড়িতে তোলার সময় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে এলে সাংবাদিকদের উপর হামলা করেন তিনি। পরে আদালত চত্বরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি নারী নির্যাতন দমন আইনে তার স্ত্রী একটি মামলা দায়ের করে। এই ঘটনার জের ধরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ প্রশাসন।
এখন টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সন জাহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, আসামিকে কোর্ট ইন্সপেক্টরের রুম থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় আমরা ভিডিও নিচ্ছিলাম। এ সময় আসামি আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে ক্যামেরায় ভাঙ্গার চেষ্টাও করে। ক্যামেরা সেভ করতে গিয়ে আমাদের হাতেও আঘাত লাগে।
যমুনা টেলিভিশনের নাটোর প্রতিনিধি ও নাটোর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, একজন আসামির দ্বারা কোর্ট চত্বরে গণমাধ্যম কর্মীদের হামলার শিকার হওয়া দুঃখজনক এবং অপ্রত্যাশিত।
ইউনাইটেড প্রেসক্লাব এর সভাপতি নাসিম উদ্দিন নাসিম বলেন, তিনজন ক্যামেরা পার্সন আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। একজন আসামিকে যেভাবে নেয়া দরকার সেইভাবে যদি সাবেক এসপিকেও হাতকড়া পড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হতো তাহলে আসামি এই হামলা করার সুযোগ পেতেন না।
বাদীর আইনজীবী মো. মুশফিক হাসান আদালতের আদেশের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন