“বউ-শাশুড়ির অঙ্গীকার, গর্ভকালীন সেবার অধিকার”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে লালমনিরহাটের সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়ন এ অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বউ-শাশুড়ি মেলা’। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের মাঠ প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উদ্যোগে, KOICA-এর আর্থিক সহায়তায় এবং সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় ইউনিয়ন পর্যায়ে আরডিআরএস বাংলাদেশ এই ব্যতিক্রমী মেলার আয়োজন করে।
মেলায় কয়েক শতাধিক বউ-শাশুড়ি ও অন্যান্য দর্শনার্থী অংশগ্রহণ করেন। তবে এটি শুধু বউ-শাশুড়িদের জন্য নয়, সকলের জন্যই উন্মুক্ত ছিল এবং মেলায় আগত পঞ্চাশ জন গর্ভবতী মা কে তাওয়াল ও আম গাছের চারা দেওয়া হয়। মেলায় স্বাস্থ্য সেবা, নাটিকা, খেলাধুলা, কুইজ প্রতিযোগিতা গল্পের মাধ্যমে গর্ভকালীন পরিচর্যা, প্রাতিষ্ঠানিক স্বাভাবিক প্রসব ও প্রসূতি মায়েদের যত্ন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়। গর্ভবতী নারীরা এই আয়োজনের মাধ্যমে সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
মোগলহাট ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান দুলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন লালমনিরহাট জেলার সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ ,লালমনিরহাট জনাব খন্দকার মাহবুবুর রহমান এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দিপংকর কর্মকার, জননী প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার রাশেল ইসলাম, সদর উপজেলার জননী প্রকল্পের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অফিসার রেখা চক্রবর্তী ও গভারমেন্ট অ্যান্ড কমিউনিটি মবিলাইজেশন অফিসার নজরুল ইসলাম।
আয়োজকরা জানান, সমাজে প্রচলিত নানা প্রতিকূলতা ও দুর্বলতা কাটিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জননী প্রকল্প ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে রংপুর বিভাগে মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য রংপুর বিভাগে মাতৃমৃত্যু কমানো এবং বাল্যবিবাহ রোধে প্রচারণা চালানো।
মন্তব্য করুন