দেশের কৃষিতে ডিএসপি ও ইউরিয়া সারের ব্যাবহার বেশী হয়, তাই সারের পরিমিত ব্যাবহার করতে হবে এবং প্রতি বছর সারে ২০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকী দেয়া হয় বলে দাবী করেছেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। তিনি রংপুর অঞ্চলেকে কৃষিতে দেশের খুবই গুরত্বপুর্ন অঞ্চল বলেও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ অঞ্চলটি দেশের কৃষির মুল উৎস। তাই এ অঞ্চলকে অধিকতর গুরত্ব দিয়ে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের গুরত্ব দিয়ে তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ের তথ্য উপাত্ত নিয়েই মুলত কৃষি খাত পরিচালনা করা হয়। বর্তমান মৌসুমে সার সরবরাহকে বিশাল চ্যালেঞ্জ হিসাবেও তিনি দেখেন। সার ব্যবহারে আপনাকে যথার্থ হতে হবে এবং মাঠ পর্যায়ের ফিডব্যাক আশা করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে জেলার ডোমার উপজেলার ডোমার ভিত্তিবীজ আলু বীজ উৎপাদন খামারে, “বীজ আলুর গ্রো-আউট পরীক্ষার ফলাফল-২০২৫ পরিদর্শন, মুল্যায়ন ও পোষ্ট হারভেষ্ট ভেরিফিকেশন এর কার্যক্রম শীর্ষক“ দিনব্যাপী এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির ভাষনে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বিএডিসি মুলত বীজ, সার ও সেচ নিয়ে কাজ করে। এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা থাকতে পারে, তবে কিভাবে সমঞ্চয় করা যায় তা নিয়ে ভাবতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। ভাল বীজের গুরত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভাল বীজ ও ব্যবহার-ব্যবস্থাপনা ভাল হলে উৎপাদন ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা সম্ভব। বিদেশী বীজের নির্ভরতা কমিয়ে ভাল বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
বিএডিসি‘র চেয়ারম্যান রুহুল আমিন খানের সভাপতিত্বে আলু বীজ বিভাগের আয়োজনে মান সম্পন্ন বীজ আলু উৎপাদন ও সংরক্ষন এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরন জোরদারকরন প্রকল্পের সহায়তায় অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বিএডিসি‘র ৩২ টি জোনের ৩২ জন উপ-পরিচালক অংশগ্রহন করেন। এ ছাড়া নীলফামারী জেলা প্রশাসক নায়িরুজ্জামান. ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম, ডোমার ভিত্তিবীজ আলু বীজ উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক মো. আবু তালেব মিয়া সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন