নীলফামারীতে দুইজন নারীকে নির্যাতন করে সম্ভ্রমহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত (১৬জানুয়ারী) বৃহস্পতিবার ডিসি অফিসের ২নাম্বার গেটের সামনে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন ভূক্তভোগী নারী শাহিনা খাতুন। শাহিনা খাতুন জানায়, সামছুন্নাহারকে সাথে নিয়ে ডিসি অফিসে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বের হয়ে আসার পথে ডিসি অফিসের ২নম্বার গেটে আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাঁচজন পুরুষ। আমরা জানতামও না কেনো তারা আমাদের উপর আক্রমণ করেছে। তারা একদম লাঠি-সোটা হাতে নিয়ে আমাদের আক্রমণ করে। তাদের লাঠি পিটুনিতে মনে হচ্ছিল জীবন বের হয়ে যাবে। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো আমাদেরকে হত্যা করা। একারণে শত কাকুতি-মিনতিও শুনতে নারাজ। এক পর্যায়ে আমার পড়নের পোশাক টেনে ছিঁড়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে। পড়ে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা আমাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। আমরা এই হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই দিন পাঁচজন লাঠি-সোটা নিয়ে দুজন মহিলার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
তারা দুজনকে নির্যাতন করে।
এক পর্যায়ে পড়নের পোশাক ছিঁড়লে আমরা বেশ কয়েকজন এগিয়ে যাই। আমাদেরকে দেখে দেখে তারা পালিয়ে যায়। নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এম আর সাঈদ বলেন, এবিষয়ে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা হয়ে হবে। উল্লেখ্য অভিযুক্তরা হলেন, রংপুর তারাগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ লক্ষ্মীপুরের দুলাল হোসেনের ছেলে রাসেল ইসলাম (৩০), রহিদুল ইসলাম (৩৫), আবু আনাজ (২৫), মৃত তছলিম উদ্দিনের ছেলে দুলাল হোসেন (৫০) ও আব্দুর রহিম (৪৫)।
মন্তব্য করুন