দিনাজপুর সদর উপজেলার ১০নং কমলপুর ইউনিয়নের মাকিহারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম ফজলুল হক ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মোঃ কাইয়ুম হোসেন আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকারের একনিষ্ট দোষর হওয়ার সুবাদে দীর্ঘদিন যাবত নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে একাধিক দুর্নীতি ও অনিয়নমের মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।
সরজিমনে গিয়ে জানা গেছে, জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হওয়ার পর গাঁ ঢাকা দেন প্রধান শিক্ষক একেএম ফজলুল হক। সেই থেকে আর কোন দিন তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পা রাখেন নি। হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করা, নিয়োগ বানিজ্যে, স্কুলের গাছ কেটে বিক্রির টাকা, মসজিদ উন্নয়নের টাকা আত্মসাত করে সেগুলো দেখভালের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খিটখিটে মেজাজী অযোগ্য সহকারী শিক্ষক কেশব চন্দ্র রায়কে। এক দুর্নীতিবাজ চলে যাওয়ার পর আরেক দুর্নীতিবাজ সহকারী শিক্ষক কেশব চন্দ্র রায়কে লিখিত ভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন। ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের দায়িত্ব পেয়ে নিজেকে একক ক্ষমতাবান ব্যাক্তি মনে করছেন কেশব চন্দ্র রায়।
১৬ ফেব্রুয়ারী-২০২৫ রবিবার সকাল ১১টায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য ও এলাকাবাসী অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষক একেএম ফজলুল হক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাইয়ুম হোসেনের অপসারনের দাবীতে মানববন্ধন করে।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন, আজগার আলী, সোলেমান মোল্লা বলেন, প্রধান শিক্ষক তার অনিয়ম ধামাচাঁপা ও দুর্নীতি অব্যাহত রাখতে সাবেক সভাপতি ছোট ভাই ডা. হাবিবুর রহমান কে এডহক কমিটির সভাপতি মনোয়নের জন্য আওয়ামী দোষরদের নাম প্রস্তাব ও দায়িত্ব অর্পনের গুঞ্জনে ফুসে উঠেছে মাকিহারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষাবোর্ড থেকে দুইজন কর্মকর্তা পরিদর্শনে গেলেও পাওয়া যায় নি প্রধান শিক্ষককে। স্কুলের শিক্ষককের অভিযোগ ইচ্ছা ও খেয়াল খুশি মত যাতায়াত করেন এই প্রধান শিক্ষক, এক মাসের হাজিরা খাতায় এক দিনে স্বক্ষর করেন। যেখানে এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ছিল-৫শ থেকে ৭ শত আজ তা দাড়িয়েছে ১শ নিচে। কখনো স্কুল শুরু হয় ১১ টায় কখনো আবার ৯ টায় নিয়ম নীতীর নেই কোন তোয়াক্কা।
এলাকাবাসী আরো জানান, ভোকেশনাল শাখা করার জন্য ১০ লক্ষ টাকা নিলেও ১ বছর ছাত্রদের ভোকেশনালের বই ক্লাস করিয়ে পরিক্ষা দিতে হয়েছে জেনারেল শাখায়। যা একজন শিক্ষার্থী ভালো রেজালের স্বপ্ন বিসর্জনের মত।
মন্তব্য করুন