পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে স্থানীয় সাংবাদিক একেএম বজলুর রহমান ও সাময়িক বহিষ্কৃত রেঞ্জ কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তোভীগীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় পৌর শহরের বিজয়চত্বর এলাকায় দেবীগঞ্জ রেঞ্জের আওতায় সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী ও অস্থায়ী বন প্রহরীদের অংশগ্রহণে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানবন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, সম্প্রতি সামাজিক বনায়নের বন প্রহরী শাকিলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। পরে আরেক বনপ্রহরীর সাথে মুঠোফোনে কথা বলার সময় শাকিলকে একাধিক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন রেঞ্জ কর্মকর্তা “নিশিকান্ত মালাকার “। পরে কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে নিশিকান্ত মালাকারকে সাময়িক বরখাস্ত করে বন বিভাগ।
এই ঘটনায় স্থানীয় সংবাদ বজলুর রহমান ‘ঢাকা ক্যানভাস’, ‘বাংলাদেশ নিউজ’ নামে দুইটি পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করেন।
বক্তারা বলেন, সেই সংবাদে সাংবাদিক বজলুর লেখন যে বন প্রহরী ইউসুফ নিশিকান্ত মালাকারের মোবাইলে কল করে অশ্লীল কথা বলেন। সংবাদে বলা হয় নিশিকান্ত মালাকারের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দেওয়াকে কেন্দ্র করে যে সংবাদ হয়েছিল পূর্বে সেটাও সাজানো। অথচ সাংবাদিক বজলুর রহমান পূর্বের সংবাদকে সাজানো বলার মতো কোন প্রমাণ দেখাতে পারবে না।
ইউসুফ জানান, সংবাদে তার বিষয়ে উল্লেখ করা হলেও বজলুর সেই সংবাদের বিষয়ে আমার বক্তব্য নেওয়ার জন্য কোন রকম যোগাযোগ করেন নি। তিনি তার সংবাদে আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। রেঞ্জ অফিসার তার অপরাধ ঢাকতে হলুদ সাংবাদিক দিয়ে গোপনে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন।
মানববন্ধন শেষে উপস্থিত সকলেই মিছিল নিয়ে ইউএনও অফিসে যান। জরুরী কাজে ব্যাস্ত থাকায় ইউএনও মাহমুদুল হাসানের সাথে তারা দেখা করতে পারেননি মানববন্ধনকারীরা ।
এই বিষয়ে নিশিকান্ত মালাকার বলেন, আমি বর্তমানে দেবীগঞ্জে নেই। এই বিষয়গুলোও জানি না এবং এর সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
এবিষয়ে সাংবাদিক বজলুর রহমান বলেন, যারা বন বিভাগের গাছ কেটেছিলো তাদের সাথে নিশিকান্ত মালাকারের কথা কাটাকাটি হয়েছে এবং ইউসুফের কাছে কোনো মন্তব্য নেয়া হয় নি।
মন্তব্য করুন