ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দিনাজপুর সদর উপজেলার ১ নং চেহেলগাজী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তথ্য গবেষণা সম্পাদক পদে বহাল থাকার বিষয়টি গোপন করে দিনাজপুর সদর উপজেলা মহিলা দলের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন কাজী রহিমা পারভীন (ইতি)।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পূর্বের চেহেলগাজী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে থাকার কমিটির চিঠি টি প্রচার হলে জেলা মহিলা দল এর নজরে পড়ে। তাৎক্ষণিক জেলা মহিলা দলের সভাপতি জিন্নাত আরা ও সাধারণ সম্পাদক শহীন সুলতানা বিউটি স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে কাজী রহিমা পারভীন (ইতি) কে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শাহীন সুলতানা বিউটি বলেন, কাজী রহিমা পারভীন ইতি ২০০৩ সাল থেকে বিএনপি মহিলা দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন ২০২২ সালে চেহেলগাজী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে যোগদান করার বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ মঙ্গলবার তাকে লিখিত ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দিনাজপুর সদর উপজেলার ১ নং চেলগাজী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পতে থাকার বিষয়টি আত্মগোপন করে মহিলা দলে প্রবেশ করায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এবিষয়ে সদর উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি সায়েকা বেগম ও সাধারন সম্পাদক সালমা বেগমের সাথে কথা হলে তারা জানান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে কাজী রহিমা পারভীন ইতি আওয়ামী লীগে থাকার বিষয়টি গোপন রেখে মহিলা দলে যোগদান করেন। ইতিমধ্যে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যদি কোথাও তিনি মহিলা দলের পরিচয় দেন তাহলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বহিস্কৃত কাজী রহিমা পারভীন ইতির সাথে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তিনি মহিলা দলের কোন কর্মী ও নন।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের দলে থাকা অভিযুক্ত কাজী রহিমা পারভীন ইতিকে ফোন করা হলে তিনি কোন কথা না বলে কল কেটে দেন।
মন্তব্য করুন