নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার ৪টি ইটভাটার বিরুদ্ধে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপনে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করা হয়।
৩০ জানুয়ারী ২০২৫ পরিবেশ অধিদপ্তর, নীলফামারী জেলা কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন, নীলফামারী এর যৌথ উদ্যোগে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার খিয়ারজুম্মা নামক এলাকায় অবস্থিত মোঃ জোবায়ের হাসান এর মালিকানাধীন মেসার্স আল মদিনা ব্রিকস, মোঃ নুর আলম এর মালিকানাধীন মেসার্স এন এস বি ব্রিকস এবং আইসঢাল, কামারপুকুর নামক এলাকায় অবস্থিত মোঃ এমদাদুল হক এর মালিকানাধীন মেসার্স সোনার বাংলা (জেড স্টার) ব্রিকস ও মোঃ আহেদুল হক এর মালিকানাধীন মেসার্স এ স্টার বি ব্রিকস নামক মোট ০৪ ( চার) টি ইটভাটার বিরুদ্ধে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) অনুসারে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে উক্ত ০৪ (চার) টি ইটভাটার মালিককে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর ৫(১) ধারা লংঘনের দায়ে যথাক্রমে মেসার্স আল মদিনা ব্রিকসকে ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ) টাকা, মেসার্স এন এস বি ব্রিকসকে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, মেসার্স সোনার বাংলা (জেড স্টার) ব্রিকসকে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ ও মেসার্স এ স্টার বি ব্রিকসকে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা করে মোট ৩,০০,০০০/-(তিন লক্ষ) টাকা জরিমানা ধার্য্যপূর্বক আদায় করা হয় এবং কৃষি জমি থেকে মাটি সংগ্রহ করে ইটভাটা পরিচালনা না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নীলফামারী এর বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুন্না রানী চন্দ অভিযানে নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং পরিবেশ অধিদপ্তর, নীলফামারী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ-আল-মামুন প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়ে নীলফামারী পুলিশ বিভাগ ও সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার সার্ভিস, নীলফামারী এর একদল সদস্য অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নীলফামারী ও পরিবেশ অধিদপ্তর, নীলফামারী জেলা কার্যালয় পক্ষ থেকে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন