আজ ২৪ জানুয়ারী শুক্রবার রাত পোহালেই ২৫ জানুয়ারী শনিবার সকাল ১০ টায় দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বিশাল কর্মী সম্মেলন।
এই সম্মেলন উপলক্ষে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো দিনাজপুর। জামায়াতের কর্মীদের মাঝে উৎসাহ এবং সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপক কৌতূহল লক্ষ্য করা গেছে। অনেক দিন পর এমন বড় আয়োজন কর্মীদের মধ্যে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে।
উক্ত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান। ইতিমধ্যে দিনাজপুর জেলা জামায়াত এই সম্মেলনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে, যা সারা জেলায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে।
২৪ জানুয়ারী শুক্রবার বিকেলে দিনাজপুর জেলা জামায়াতের নেতারা মঞ্চ এবং মাঠ সজ্জার চূড়ান্ত প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান,সাবেক জেলা আমীর আলহাজ্ব আফতাব উদ্দীন মোল্লা এবং ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা আব্দুল হাকিমসহ বিভিন্নস্তরের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে শহর জামায়াতের উদ্যোগে আমীরে জামায়াতকে স্বাগত জানিয়ে একটি বিশাল মিছিল দিনাজপুর বড় মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন শহর জামায়াতের আমীর সিরাজুস সালেহীন ও সেক্রেটারি কামরুল হাসান রাসেল।
দিনাজপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ড. এনামুল হক বলেন, “সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। জেলার ১৩টি উপজেলার কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সম্মেলন ঘিরে ইতোমধ্যে মিছিল, সমাবেশ এবং গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়সহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।”
শহর জামায়াতের আমীর সিরাজুস সালেহীন বলেন, “কর্মীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে। সম্মেলনকে সফল করতে আমরা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা রক্ষার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আশা করছি, এটি সফল ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হবে।”
বিরল উপজেলার কর্মী আব্দুস সালাম জানান, “আমীরে জামায়াতের নসিহত শোনার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। তাঁর দিকনির্দেশনায় আমরা আমাদের কাজকে আরও গতিশীল করবো এবং ইসলামের বিজয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবো।”
সম্মেলনে নারী কর্মীদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিকিৎসা, পানি-স্যানিটেশন এবং খাবারের জন্য পৃথক বিভাগ তৈরি করা হয়েছে। সম্মেলন উপলক্ষে পুরো এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
জামায়াতের এই সম্মেলন কর্মীদের জন্য এক নতুন প্রেরণা নিয়ে এসেছে। নেতারা আশা করছেন, এই সম্মেলন দিনাজপুরসহ সারা দেশে সংগঠনের কার্যক্রমে নতুন গতিশীলতা আনবে।
মন্তব্য করুন