নীলফামারীতে উৎসব মুখর পরিবেশে তারুণ্যের উৎসবে আরচ্যারীর নানা কর্মসূচি উদযাপন করা হয়। নীলফামারীতে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ আরচ্যারী অ্যাকাডেমি করার পরিকল্পনা হয়।
বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশন আয়োজিত ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ স্লোগানে দেশব্যাপী পরিচালিত তারুণ্যের উৎসবের প্রথম পর্ব নীলফামারীতে নানা আয়োজনে সমাপ্ত হয়েছে। ১৫ই জানুয়ারি ২০২৫ সকাল ১০ টার সময় জেলা প্রশাসক চত্ত্বর থেকে বের হওয়া বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী উৎসবের যাত্রা শুরু হয়। র্যালিটি চৌরঙ্গী মোড় ও বাটার মোড় হয়ে বড় মাঠে এসে শেষ হয়।
পরবর্তীতে পিঠা উৎসব, লোক সংগীত ও লোক নৃত্যের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা দিয়ে উৎসবের রঙিনতা আরো বাড়িয়ে তোলে। নীলফামারীর বড় মাঠে পিঠা উৎসব ও আরচ্যারী প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশর আরচ্যারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুন, জেলা জজ কোর্টের সরকারি কৌশলি আবু মোহাম্মদ সোয়েম। সভাপতিত্ব করেন নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আরচ্যারী ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো: ফারুক ঢালী, জেলা ক্রীড়া অফিসার আবুল হাশেম, ছাত্র প্রতিনিধি শ্রেষ্ঠ সরকার, নীলফামারী জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মো: সৈয়দ মেহেদী হাসান আশিক, সদস্য সচিব মো: আলিফ সিদ্দিকী প্রান্তর, যুগ্ম আহ্বায়ক মো: রইসুল ইসলাম অম্লান, বোরহান আহমেদ, যুগ্ম সদস্য সচিব মো: সাঈদ ইসলাম সহ নীলফামারী জেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
নীলফামারীতে আরচ্যারীর ভালো সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান বক্তারা। বিউটি রায়, দিয়া সিদ্দিকী, পুষ্পিতা জামানের মতো আরচ্যাররা উঠে এসেছেন নীলফামারী থেকে। বেশ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নীলফামারী সদর সহ ছয়টি উপজেলার আরচ্যাররা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ১২ জন ছেলে ও ১২ জন মেয়ে তীর ধনুকের লড়াইয়ে অংশ নেয়। ছেলেদের বিভাগে সোনা জিতেছেন নীলফামারী সদর উপজেলার মোঃ কাশেম আলী। আর মেয়েদের বিভাগে একই উপজেলার শিগরীতা রানী সোনা জয় করেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।
বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশন দেশের ৭টি ভেন্যুতে এই উৎসবের আয়োজন করেছে। নীলফামারীর পর পরবর্তী আয়োজনগুলো হবে ১৮ জানুয়ারি ফরিদপুরে, ২৩ জানুয়ারি রাজশাহীতে, ২৬ জানুয়ারি নড়াইলে, ২৭ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গায়, ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এবং চূড়ান্ত পর্ব ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে।
এদিকে নীলফামারীতে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ আরচ্যারী অ্যাকাডেমি করার পরিকল্পনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আরচ্যারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করার কথা বলেছেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। ভারত, শ্রীলঙ্কাও বাংলাদেশে আরচ্যারী অ্যাকাডেমি করার ব্যাপারে তাদের সম্মতি দিয়েছে বলে জানান আরচ্যারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া আগামী মে মাসে জাতীয় যুব আরচ্যারী চ্যাম্পিয়নশিপ নীলফামারীতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মন্তব্য করুন