উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুর এ জেলায় মোট উপজেলা রয়েছে ১৩ টি যার মধ্যে ৮ টি উপজেলা ভারতের সীমান্তবর্তী। ফলে অন্যান্য জেলার তুলনায় দিনাজপুর জেলায় মাদকের চোরাচালান ও ব্যবসায়ী বেশি। মাদকের বিষাক্ত ছোবলে পড়ে নানা প্রকার অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে যুবসমাজ। তবে এবার দেখা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভিন্নরূপ। যেমন দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে মতিউর রহমান যোগদানের পর থেকে গ্রেফতার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী ও চিহ্নিত অপরাধীরা।বর্তমানে দিনাজপুরের মাদক কারবারি এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের কাছে এক আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে ওসি মতিউর রহমান।
কোতয়ালী থানা সুত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর মতিউর রহমান দিনাজপুর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন। এরপর থেকে শুরু পুলিশী অভিযান। ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজনৈতিক মামলার ১১০ জন, জিআর ১১৬ জন ও সিআর ২১ জন, (সাজা জি আর) ২১ জন, সিআর ১২ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১৪৮ বোতল ফেন্সিডিল, ১ হাজার ৭৩ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, ৪৫ পিস ইয়াবা, ৫২০ গ্রাম গাজা, ২৩ পিস ইনজেনশন এবং ৩৯১ লিটার চোরাই মদ উদ্ধার করে পাশাপাশি ৩৬টি মাদক মামলায় ৬০ জন কে গ্রেফতার করা হয়।
কোতয়ালী থানায় সেবা নিতে আসা আনোয়ারা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে কোতয়ালী থানায় আসলে মনে হয় পুলিশ সাধারণ মানুষকে আইনি সার্বিক সেবা দিতে সর্বদা প্রস্তুত। পূর্বে সাধারণ মানুষ থানায় সেবা নিতে আসলে নানা ভাবে হয়রানির শিকার হতেন বর্তমানে তা নেই। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি উন্নতির পাশাপাশি অনেক টা বদলে গেছে কোতয়ালী থানার কার্যক্রম।
সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানা গেছে, ওসি মতিউর রহমান যোগদানের পর থেকে জনগনের মাঝে আইনি সেবা পৌঁছে দিতে নিরলশ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। গত ০৫ আগষ্টের পরবর্তী সময় জনগন পুলিশের মধ্যে একটি দুরত্বের সৃষ্টি হয়েছিল বর্তমানে তা নেই। এখন কোন অভিযোগ বা আইনি সেবা নিতে গেলে হয়রানি হতে হয় না সাধারণ মানুষ কে। থানায় সেবা নিতে আসা আকবর হোসেন বলেন, ওসি মতিউর স্যার নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানুষ। তিনি সকলের সাথে সর্বদা হাঁসি মুখে কথা বলেন। তিনি থানার সকল অফিসারদের সাফ জানিয়ে দেন যে আমার থানায় যেসকল অভিযোগ আসতে সেগুলো ফেলে না রেখে দ্রæত তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। মানুষ থানায় পুতুল খেলতে আসে এখানে বিপদে পড়েই আসে সে বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে সকলকে দেখতে হবে।
উল্লেখ, বর্তমান কোতয়ালী থানার ওসি মতিউর রহমান ২০১৫ সালে ওই থানাতেই এস আই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার এবং সঠিক নিয়মে সাধারণ মানুষের মাঝে পুলিশিং সেবা প্রদান করায় তিনি পুরস্কৃত হয়েছিলেন। সে সময় তিনি নিজ দায়িত্ব পালনের মধ্যদিয়ে দিনাজপুরের মানুষের সাথে গড়ে তুলেছিলেন সু-সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে তার সৎ সাহস ও আধুনিক চিন্তা ভাবনায় বদলে গেছে থানার সকল কার্যক্রম। জনগন এখন কোতয়ালী থানায় নির্ভিগ্নে সেবা গ্রহন করতে পারছে। ফলে সাধারণ মানুষ সত্য ঘটনা নিয়ে থানায় মামলা করতেও বিলম্ব হচ্ছে না।
(ওসি) মতিউর রহমান এর নেতৃত্বে থাকা থানার কর্মরত এস.আই, এ.এস.আই, ও নারী পুলিশ সদস্যরা থানার আইন শৃংখলার শান্তি পূর্ন পরিবেশ বজায় রাখতে নিরলশ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে ওসি মোঃ মতিউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,অপরাধীরা যতই শক্তিশালী হোক তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে কোন পেশিশক্তি কে ভয় পাইনা। আগামী দিনে আমার দায়িত্ব এবং কর্তব্য সততা ও নিষ্টার সাথে পালন করে যেন জনগনের প্রত্যাশা পুরণ করতে পারি সে চেষ্টায় করে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন