সরকারি অর্থ অপচয় রোধসহ অ-অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করনের নিমিত্তে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টার সময় মো: মকবুল হোসেন একজন অভিভাবক এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা, তিনি এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন,
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় অ-অনুমোদিত অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যা বিগত আওয়ামী সরকারের আওয়ামী লীগ মনোনীত লোকজনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । এতে অনুমোদিত (এমপিও ভুক্ত) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক ক্ষতির মধ্যে পড়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি থাকলেও ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদানের কোন অনুমতি নাই । তবুও দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগের লোকজনের ক্ষমতার দাপটে প্রভাব চলছে।
এইসব কিন্ডার গার্ডেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কারণে সরকারি অর্থ অপচয় রোধ সহ অ-অনুমোদিতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করণের নিমিত্তে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঠাকুরগাঁয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার একভুক্তভোগী।
বুধবার( ৮ জানুয়ারি) দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চারণ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবক মকবুল হোসেন বলেন, বালিয়াডাঙ্গীতে কিন্ডারগার্ডেনের অনেক প্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে শ্রেণী পর্যন্ত বই বিতরণ করা হয়। তাতেও ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কোন না কোন এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধন করা হচ্ছে। এতে দেখা যায় যে, ওই শিক্ষার্থীদের নামে ওইসব প্রতিষ্ঠানেও বই সংগ্রহ করা হচ্ছে। আবার ওই কিন্ডার গার্ডেনের আদলে প্রতিষ্ঠিত ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর পাঠ দান প্রতিষ্ঠানেও বই দেওয়া হচ্ছে।
এতে একজন শিক্ষার্থীর পিছনে দুই সেট বই সরকারকে দিতে হচ্ছে, কিন্তু এক সেট বই কোন কাজে আসছে না।এতে সরকারকে অতিরিক্ত বই ছাপাতে হচ্ছে। অনুমোদিত তথা ভুয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই বিতরণ বন্ধ হলে সরকার তথা রাজস্ব খাতে অর্থনৈতিক অপচয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
অন্যদিকে অষ্টম শ্রেণী কিংবা এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে একাধিক প্রতিষ্ঠান ফলাফল দাবি করে। যে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা অধ্যায়ন করে সে প্রতিষ্ঠান ফলাফল দাবি করে আবার নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান একই দাবি করে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েন।
গড়ে ওঠা মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের অনুনোমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রকৃতপক্ষে কোচিং সেন্টার হলেও বিদ্যালয়ের নাম দিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে শিক্ষা বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমিটি বিহীন আর্থিক কিংবা সামাজিক জবাবদিহিতা না থাকাই প্রতিষ্ঠান প্রধান ও পরিচালক গণ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে। বিগত সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলো আওয়ামী নেতৃবৃন্দের পৃষ্ঠ পোষকতায় ও কর্তব্যরত প্রশাসনিক সহযোগিতায় অবৈধভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের প্রচলিত বিধিবিধান অপেক্ষা করে টিউশন ফি সহ অন্যান্য খাতে ব্যাপক হারে টাকা উত্তোলন করে সহযোগী ব্যক্তিদের সুবিধা দিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ বিহীন পার্ট টাইম শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করার মাধ্যমে শিক্ষার গুনগতমান বিনষ্ট হচ্ছে।
কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংস্থা বা ট্রাস্টের নামে পরিচালনার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ সহ সরকারকে কর ফাঁকি অব্যাহত রেখেছে। এমনকি কোন প্রতিষ্ঠানেও শিক্ষা বোর্ড থেকে পাঠদানের ন্যূনতম অনুমতি গ্রহণের প্রয়োজন মনে করছেনা।
মন্তব্য করুন