বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য,সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বিএনপি রাজনীতি করে জনগণের সেবার জন্য বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না।বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নেতৃত্বে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে পতিত হাসিনা সরকারের দোসরেরা এখনো ঘাপটি মেরে রয়েছে। বিভিন্ন সেক্টরে বসে তারা কলকাঠি নাড়ছে। তারা যেন পূর্নবাসিত হতে না পারে সে দিকে সবার নজর রাখতে হবে। এদেশে আওয়ামী ফ্যাসিষ্টদের আর ঠাই হবেনা।
আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে দেশের সব প্রতিষ্ঠান নষ্ট করে দিয়েছে। ছাত্রদের গনঅভ্যুত্থানের কারনে সৈরাচার পালিয়েছে তার মানে এই নয় যে ছাত্ররা দেশ শাসন করবে,তাদেরকে সু শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তারপর রাজনীতি কররে,মন্ত্রী হবে,সংসদ সদস্য হবে।কিন্তু লেখাপড়া শেষ করে তারপর এসব চিন্তা করতে হবে,ছাত্রদের উদ্দেশ্য বিএনপি প্রবীন এই রাজনীতিবিদ বলেন,তারা দল গঠন করবে কিন্তু পড়াশোনা শেষ করে,তাদের উচিৎ এখন ক্লাসে ফিরে যাওয়া,পড়াশোনায় সম্পুর্ন মনোযোগী হওয়া। সব প্রতিষ্ঠান সংস্কার করে নির্বাচনে যাব—এটা কোনো যুক্তি হতে পারে না। আমাদের সংস্কার প্রয়োজন আছে; কিন্তু সংস্কার চলমানপ্রক্রিয়া, সংস্কার এমন কোনো জিনিস নয় যে আজকে সংস্কার করে তা তালাবদ্ধ করে রাখব। দেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রত্যাশা নিরপেক্ষ নির্বাচন। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে শনিবার (৪ জানুয়ারি) বাগেরহাট-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে আব্দুল আজিজ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর(ভিসি), বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. ওবায়দুল ইসলামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোরেলগঞ্জের কৃতি সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) নিযুক্ত হওয়ায় ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রকাশে ভূমিকা রাখায় মোরেলগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে এ গণ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
সংবর্ধিত অতিথি ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন,‘জুলাই গণ অভ্যুত্থানে দেশের মানুষ বাক স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। দুর্ণীতিবাজ হাসিনা ও তার চ্যালারা লুটপাট, মানুষ হত্যা, গুম, জুলুম ও নির্যাতন করে দেশটাকে খাদের কিনারে রেখে পালিয়ে গেছে। এখন সকলে মিলে বিএনপির নেতৃত্বে দেশের উন্নতি, সমৃদ্ধি, সুনাম, ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।তরুণ প্রজন্মের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার গুরুত্বারোপ করেন। তিনি তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। এছাড়াও তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সঠিক দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন এবং মোরেলগঞ্জের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার আশ্বাস দেন।
সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মোরেলগঞ্জ পৌর বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আল আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান মাশীম, গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. মোর্শেদ হাসান খান ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আকরাম হোসেন তালিম,তাঁতীদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামের মোরেলগঞ্জ উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা শাহাদাৎ হোসাইন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিএনপি নেতা অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল ও যুবদল নেতা মো. রেজাউল করিম সোহাগ।
মন্তব্য করুন